যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের ওপর বিধিনিষেধ শিথিলকারী নতুন অভিবাসননীতি নীরবে বাস্তবায়ন করছে বাইডেন প্রশাসন। নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন দমন অভিযান এবং গণবহিষ্কারের পরিকল্পনা ভ-ুল করার চেষ্টায় এই উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার।
বিদায়ী প্রশাসন ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই নিউইয়র্ক সিটিতে একটি আইসিই পোর্টাল অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে অভিবাসীরা স্থানীয় আইসিই অফিসের সশরীরে চেক-ইন এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
গণমাধ্যমকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিবাসীরা আংশিকভাবে কর্তৃপক্ষকে সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবে। কারণ এ সফটওয়্যারটিতে প্রমাণিত ত্রুটি রয়েছে, একইসাথে এটি বিশ্বস্তও নয়।
এমনকি এটি যদি যথাযথভাবে কাজ করলেও তা অতীতের গ্রেফতার কিংবা বিদ্যমান পরোয়ানা যাচাই করতে পারবে না। উল্লেখ্য, বর্তমানের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার ব্যবস্থায় এমন সুযোগ নেই।
সূত্রটি জানায়, এই কর্মসূচির প্রথম পালায় এক লাখ পর্যন্ত অভিবাসী তালিকাভুক্ত হতে পারবে।
ট্রাম্পের অভিষেকের আগে অবৈধ অভিবাসীদের যেসব সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এটি তার একটি। এছাড়া অভিবাসন অ্যাপায়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষা করার সময় ইলেক্ট্রনিক শনাক্তকরণের সরকারি নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করার অধিকারও দেওয়া হচ্ছে অভিবাসীদের।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের এসব নীতি বাস্তবায়ন সহজ হবে না। তাদের মতে, এসব আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হবে। ফলে আইনগুলো স্থবির হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে সাবেক ভারপ্রাপ্ত কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন কমিশনার মার্ক মরগ্যান শেষ মুহূর্তে বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া এসব উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এগুলো হলো ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিপরীত’ পদক্ষেপ।
তিনি আরো বলেন, নতুন বাইডেনের নীতিগুলো বিলুপ্ত করার ব্যাপারে ট্রাম্পের উদ্যোগও আদালতের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হবে।
নিউইয়র্ক সিটিতে বর্তমানে দুই লাখ ২৩ হাজারের বেশি অভিবাসী রয়েছে। তারা অভিবাসন সঙ্কট শুরু থেকে নগরীতে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৫৮ হাজারের বেশি অভিবাসী করদাতাদের টাকায় শেল্টারে বাস করছে।