সোমবার, ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আবেগ নিয়ন্ত্রণের উপায় জেনে নিন

আমাদের সবার আবেগ একইরকম নয়। কেউ হয়তো খুব সহজেই আবেগ সামলে উঠতে পারেন, কারও জন্য আবার অতোটা সহজ হয় না। একই ঘটনায় দেখবেন কেউ হাউমাউ করে কাঁদছে আবার কেউ চুপচাপ। এর মানে হলো সবাই সমানভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। একজন মানবিক মানুষ হিসেবে অবশ্যই আবেগ থাকবে। কারণ আবেগ বেঁচে না থাকলে সেই মানুষ ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তবে অতিরিক্ত আবেগও কাজের কথা নয়। আমরা হয়তো কোনো একটি বিষয়ে নিজের মতো করে ভেবে নিই। এরপর মনে মনেই কষ্ট পেতে থাকি। কিন্তু মনের মধ্যে গড়ে ওঠা গল্পটি কি কখনো সূক্ষ্ণভাবে ভেবে দেখেছেন? যখন মস্তিষ্কের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে তখন সে নিজের মতো করে গল্প তৈরি করতে থাকে। আমরা আবেগের বশে যা কল্পনা করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অতিরিক্ত চিন্তার কারণে গড়ে ওঠে। এটি আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। সত্যটা ভালোভাবে বোঝার জন্য ঘটনাটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত। নয়তো আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আবেগ আর বাস্তবতার পার্থক্য থাকে বিস্তর।

 

কখনো কখনো নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হতে পারে। মনে হতে পারে যে, আমাদের আর কিছুই করার নেই। আসলে কিন্তু তা নয়। সব পরিস্থিতি মোকাবিলারই রয়েছে কোনো না কোনো পদ্ধতি। কোনটি আপনি বেছে নেবেন সেদিকে খেয়াল করতে হবে। কখনো নিজের স্বার্থ রক্ষায় আমরা আক্রমণ করে থাকি। তবে এটি যে সব সময় সঠিক হবে তা কিন্তু নয়। বরং অপরপক্ষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর বদলে পরিস্থিতি এড়িয়ে গিয়ে বরং বিরতি নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন, চুপ থাকা মানেই হেরে যাওয়া নয়। আবার হেরে যাওয়া মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয়।

 

আবেগের সঙ্গে শুধু মনের নয়, সম্পর্ক থাকে শরীরেরও। তাই আমাদের হৃদয় কী অনুভব করছে এবং শরীর তাতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। হৃদস্পন্দন, ক্লান্তি বা ক্ষুধা অনুভূতি হতে পারে মানসিক অশান্তির লক্ষণ। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১