পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ঈমানের বহুমুখী কল্যাণ ও সুফলের বিবরণ এসেছে। নিম্নে এমন কিছু সুফল ও পুরস্কারের বর্ণনা তুলে ধরা হলো—
১. ঈমান মুমিনের ইহকালীন ও পরকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদের জন্যই এবং তারাই সৎপথপ্রাপ্ত। ’
(সুরা : আনআম, আয়াত : ৮২)
২. ঈমানের স্তর অনুসারে আল্লাহ মুমিনের প্রতিদান বৃদ্ধি করে দেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদের পূর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো বেশি দেবেন। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৭৩)
৩. ঈমানের বদৌলতে আল্লাহ বান্দার পাপ মার্জনা করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো ব্যক্তি আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক না করা অবস্থায় পৃথিবীপূর্ণ গুনাহ নিয়ে আমার সঙ্গে মিলিত হলেও আমি অনুরূপ পরিমাণ ক্ষমাসহ তার সঙ্গে মিলিত হব।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২১)
৪. আল্লাহ মুমিনকে জান্নাত দান করবেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শিরকমুক্ত অবস্থায় মারা গেল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে শিরকে লিপ্ত অবস্থায় মারা যাবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৩)
৫. পরকালে ঈমান জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের কারণ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যার অন্তরে একটি শস্যদানা পরিমাণ ঈমান আছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন।
সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫৬০)