আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় মনোরঞ্জন রাজবংশীসহ ভুক্তভোগী ৬ জন মিলে এই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরারেশন) আব্দুর রাশিদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার মনোরঞ্জন রাজবংশী রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার শুভ জুয়েলার্স বন্ধ করে বাসায় চলে যান। অন্য জুয়েলার্সের মালিকরা রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। প্রতিদিনের ন্যায় সিকিউরিটি গার্ডরা বাজার পাহারা দিচ্ছিল। তবে রাত দেড়টার দিকে বংশী নদী দিয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি ডাকাত দল রাইফেল, রামদা, হাইড্রোলিক কাটার, সেলাই রেঞ্জ, লোহার রড নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে।
এ সময় সিকিউরিটি গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে মজিদের মুদি দোকানের মধ্যে ফেলে রাখে। পরে ১৭টি স্বর্ণের দোকানে হানা দিয়ে ১২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯১২ ভরি রূপা যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ১২ হাজারসহ নগদ ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।
খবর পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সকালেই ঘটনাস্থল আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে ভিড় জমায়। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আশ^াস দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন মনোরঞ্জন রাজবংশী।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ডাকাতির ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। এ ঘটনা উদঘাটন, মামলার জোরালো তদন্ত ও তাদের গ্রেফতার করতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই দ্রুত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।