নোবেলজয়ী প্রফেসর ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে গতকাল বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে নতুন সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে তারা অবগত এবং এই সরকারের পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানান।
তিনি আরও জানান, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীন কোনো হস্তক্ষেপ করে না এবং তারা এই নীতিতেই অটল আছেন। এছাড়া চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দেশের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ নিজস্ব পথ বেছে নেওয়ার প্রতি চীনের যে অঙ্গীকার রয়েছে সেটিও মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, “চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ এবং গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা অংশীদারিত্বকে সম্মান করে এবং বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এছাড়া আমাদের টেকসই কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার ইঙ্গিত দিয়ে এই চীনা কূটনীতিক বলেছেন, “বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এবং দেশটির সঙ্গে সৌহায্যপূর্ণ বন্ধুত্বের যে মূল নীতি রয়েছে সেটির প্রতিও আমরা কঠোরভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে আমরা মুখিয়ে আছি।” গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গতকাল গঠন করা হয় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে প্রধান উপদেষ্টা করা হয় ডক্টর ইউনূসকে।