ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের নেত্রী ৫৮ বছর বয়সী খালিদা জারার প্রায় দুই বছর পর ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত পেলেন।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সালেম সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে তাকে মুক্তি দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমে রামাল্লায় মেয়ে সুহার কবর জিয়ারত করেছেন ফিলিস্তিনি এমপি খালিদা। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি রামাল্লায় তার কারামুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জানা গেছে, খালিদা জারার (৫৮) ফিলিস্তিনের একজন বামপন্থী নেত্রী। বর্তমানে নিষ্ক্রিয় ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের (পিএলসি) এমপি তিনি। খালিদা জারারের দুই মেয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে রামাল্লায় গত জুলাইয়ে তার এক মেয়ের মৃত্যু হয়।
মেয়ের জানাজায় মায়ের অংশ নেওয়ার জন্য ওই সময় খালিদা জারারকে মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়ে গণদাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু এর পরও ইসরায়েল ফিলিস্তিনি এমপি খালিদা জারারকে মুক্তি দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর নিজ বাসভবনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন খালিদা জারার। প্রায় আট মাস পর তিনি মুক্তি পান। কিন্তু কোনো বিচার কিংবা অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিক বন্দিনীতির আওতায় ২০ মাসের জন্য আবারও তাকে বন্দি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রশাসনিক বন্দি হিসেবে তিনি কারাভোগ করেছেন।