ঈদুল আজহা ত্যাগ ও আনন্দের দিন। আনন্দ-উৎসবের এ দিনকে ইবাদত-বন্দেগি দ্বারা সুসজ্জিত করেছে ইসলাম। ঈদের দিন ফজর নামাজের পর প্রথম আমল হলো ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা। এর মাঝখানে আর কোনো নফল নামাজ নেই। তাই ঈদের নামাজের আগে ইশরাক, চাশত নামাজের নিয়ত করা যাবে না।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে- أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَومَ أَضْحَى، أَوْ فِطْرٍ، فَصَلَى رَكْعَتَيْنِ، لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلَا بَعْدَهَا ‘রাসুলুল্লাহ (স.) ঈদুল আজহা বা ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে ঈদের দুরাকাত নামাজ পড়েছেন। আগে পরে কোনো নামাজ পড়েননি। (মুসলিম ৮৮৪) উক্ত হাদিসের আলোকে ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ঈদের দিন নারী-পুরুষ কেউ ঈদের নামাজের আগে নফল নামাজ পড়বে না। ঈদগাহে ঈদের নামাজের পরেও কোনো নফল নামাজ পড়বে না।
ফতোয়ার কিতাবে এসেছে, ঈদের নামাজের পূর্বে নিজ ঘরে বা ঈদগাহে ইশরাক ইত্যাদি নফল পড়া নিষিদ্ধ। ঈদের জামাতের পরেও ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে, ঘরে ফিরে ইশরাক, চাশত নফল পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৬৯)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ঈদের নামাজের আগে কোনো (নফল) নামাজ পড়তেন না। যখন নামাজ থেকে ফারেগ হয়ে ঘরে চলে আসতেন তখন দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়তেন। (ইবনে মাজাহ: ১২৯৩, কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬২২৮)