ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা একপ্রকার অর্থনৈতিক অপরাধ। ইসলাম এ রকম অপরাধ নিরসনে নির্ণয় করেছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। হাদিসে এসেছে, হজরত শারিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ধনী ব্যক্তির গড়িমসি করা তার মানহানি ও শাস্তিকে বৈধ করে দেয়।’
হজরত ইবনুল মোবারক বলেন, ‘মানহানি হলো-রাগান্বিত হওয়া আর শাস্তির অর্থ হচ্ছে বন্দি করা।’ (আবু দাউদ) হজরত মাকহুল (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই হকদারের রয়েছে হাত ও জিহ্বা।’ (দারে কুতনি) অর্থাৎ হাত বলে আটক করা ও বল প্রয়োগ করা এবং জিহ্বা বলে তাগাদা করা ও আইনের আশ্রয় নেওয়া। (ইলাউস সুনান) এ ক্ষেত্রে জরিমানা বা কোনোরূপ অর্থদণ্ড ঋণ পরিশোধকে বরং জটিল থেকে জটিলতর করার নামান্তর।
আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে অবকাশ তথা পরিশোধের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিলে অধিক সওয়াব অর্জিত হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’