কবিঃ পত্রলেখা ঘোষ
প্রাণের বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে
মন ভরে এক অনির্বচনীয় প্রশান্তির দোলায়।
বাংলা সঙ্গীতের সুরমূর্ছনা
রবি-নজরুল-লালনের অমৃতনিষ্যন্দী গানের অতলান্ত বাণী মনকে নিয়ে যায় কোন সে সুদূর লোকে!
কানে রয়ে যায় গানের রেশ,
প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি,
মন হয় পরিতৃপ্ত।
ভাষাশহীদের স্বপ্ন পূরিত হয়
যখন শিশু তার মায়ের কাছে বসে বাংলা বর্ণমালার তালিম নেয়; মা শেখান
এই মাতৃভাষাকে ছিনিয়ে আনার জন্য ঝরেছিল ভাষাশহীদদের শোণিত ধারা-বিনম্র শ্রদ্ধায় ভরে যায় শিশুর অন্তর।
মৃত্যুঞ্জয়ী বাংলা কবিতার নানা ভাবের সমাহার মনকে আবিষ্ট করে;
দ্রোহের কবিতা যেন রফিক শফিক বরকত জব্বারের তাজা রক্ত, ভাষাসৈনিকদের আত্ম অহঙ্কার।
একুশ মানে ভাষাশহীদের রক্তে রাঙ্গা বসন্তের কৃষ্ণচূড়া,
একুশ এলেই বুকে জাগ্রত এক হিল্লোল।
পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করে
বীর বাঙ্গালী বুঝিয়ে দিলো উর্দুর গোলামী নয়,
নির্ঝরিণীর কলতানের মতো সদা ঝঙ্কৃত থাকবে চির অম্লান বাংলা ভাষা।
বহমান নদীর মতোই প্রবাহিত হোক বাংলা ভাষা যুগ থেকে যুগান্তরে,
চলনে বলনে চিন্তায় মননে সদাজাগ্রত থাক এ ভাষা-
ভাষার প্রতি আত্মিক ভালোবাসা সুগন্ধি ফুলের মতো ছড়িয়ে পড়ুক হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
কেবল একদিনের শ্রদ্ধা বা শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ নয়,চিরজীবী হোক বাংলা ভাষা-
বর্ণমালা রক্ষার্থে প্রাণদানকারী সৈনিকেরা সুযোগ্য সম্মান পান দৈনন্দিন জীবনচর্যায়,
চতুর্দিকে সোচ্চারে ঘোষিত হোক
বাংলা বর্ণমালার বিজয়,
এই হোক একুশের অঙ্গীকার।