প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় এবার জামিন পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রবিবার তার পক্ষে আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট সগির হোসেন বলেন, হাইকোর্টের একটি এখতিয়ারসম্পন্ন বেঞ্চে কার্যতালিকায় এলে চলতি সপ্তাহে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। এক মাসের বেশি সময় আগে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রয়েছেন মির্জা ফখরুল। ইতিমধ্যে অধস্তন আদালতে দুবার তার জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। অন্যদিকে একই দিন বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন রাজধানীর হেয়ার রোডে পুলিশের সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ অন্যদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঢাকার একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর জামিন পেতে আইনজীবীদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে আবেদন করলে ২২ নভেম্বর সে আবেদনও নাকচ হয়।
জামিন পেলেন রুহুল কুদ্দুস দুলু : রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার এক মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। গতকাল বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিনসহ রুল দেয়। রুলে কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আদালতে রুহুল কুদ্দুস দুলুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সগির হোসেন লিয়ন। মামলার নথি অনুযায়ী, গত ১৭ অক্টোবর রুহুল কুদ্দুস দুলুর নেতৃত্বে রাজধানীর বাড্ডা থানার বৈঠাখালী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং নাশকতার মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় মামলার পর গত ১৮ অক্টোবর রুহুল কুদ্দুস দুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।