কবিঃ ফেরদৌস আহমদ
বয়স যখন আমার ,আঠারো বা কুড়ি
যৌবন বাসনা বলে, নারী চাই নারী।
নারীর প্রেমের লাগি ,যায় যায় প্রাণ
নারী যেন বাঁচিবার ,খাঁটি উপাদান।
আনমনা যুবকের ,মৌনতা হেরি
মাতা পিতা বুঝে তার ,নারী চাই নারী।
ছেলের সুখের লাগি ,প্রতি বাবা মায়
সুন্দরী গুণী নারী, খুঁজিয়া বেড়ায়।
ছোট্ট শিশুটি রোগে ,যায় যায় মরি
বাঁচাতে ঔষধ নহে ,নারী চাই নারী।
বেহুঁশ শিশুর মুখে ,মা মা গান
প্রতিটা জনের যেন ,নারী মাতা প্রাণ।
ছোট্ট জীবন খানি ,দিতে হলে পাড়ি
পদে পদে সকলের ,নারী চাই নারী।
সেই নারী আসলে ,মেয়ে পরিচয়ের
আজ ও যায় অনেকের, মুখ কালো হয়ে।
জন্মালে মেয়ে শিশু ,বাঁকা মুখ খান
সম্মানী মায়ের জাতির, করে অপমান।
মায়ের যত্নে গড়া, এই দেহ প্রাণ
বোন, বধু ,কন্যার ,আছে অবদান।
ধর্ম দিয়েছে যাদের , সুবিশাল মান
সইবো না সে নারীর ,কোন অপমান।
জন্মালে নারী-শিশু ,যার গা জলে
লাজ দিতে সে পাপির ,কান দাও মলে।
কেড়ে নাও তার থেকে, বধুর সোহাগ
মায়ের দুধ ফেরত,যাক দিয়ে যাক।
পরিশেষে পাপীদের ,বুঝ করো দান
মেয়ে শিশুর দাম ও ,মায়ের সমান।