ক্রেতার প্রশ্ন- ভাই, লেবুর হালি কত? দোকানির ঝটপট উত্তর-১৬০ টাকা। ক্রেতা যেন ভুল শুনলেন! আবারও তার প্রশ্ন- কত দাম বললেন? এবার দোকানি কিছুটা গলা বড় করে বলতে লাগলেন- ভাই লেবুর হালি ১৬০। একথা শোনামাত্র এবার ক্রেতার কড়া উত্তর- তোমার লেবুর দাম কি কমলার চেয়ে বেশি হয়ে গেল নাকি!
তবে ক্রেতা আসলাম সাহেব লেবুর দাম শুনে ভড়কে গেলেও এই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে লেবু। আরও কয়েক দোকানির কাছ থেকে জানা গেল, রমজানের প্রথম দিনে ১৬০ টাকা হালি হাঁকানো লেবুটি কলম্বো জাতের। এটি সাইজে বড় ও গোল আকৃতির। দেখতে অনেকটা কমলালেবুর মতোই।মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে কাঁচাবাজার মার্কেটে লেবুর এই দর দেখা গেছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এখন আধা পাকা কমলা প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সেগুলো ওজনে ওঠে সাত থেকে আটটি। কিন্তু চারটি লেবুর ওজনই ৫০০ গ্রামের বেশি। যার দাম দোকানিরা বলছেন ১৬০ টাকা। তার মানে দাঁড়ায় প্রতি লেবুর দাম ৪০ টাকা।
সেই দোকানে এক ক্রেতা এসে লেবুর দাম জিজ্ঞেস করেন। দাম শুনে তিনি চারটার স্থলে মাত্র দুটি লেবু কিনেন। তার সাথে থাকা একজন বলেন- স্যার, লেবু না কিইনা কমলা কিইনা খাই, সেটাই ভালা। সেই কর্মচারীর কথার রেশ কাটতে না কাটতে এবার দোকানি কামাল বলে উঠলেন- ভাই লেবুর কাজ লেবু করবে, কমলার কাজ কমলা। দুটোর সাথে মেলালে কি হবে! লেবুর গুন কমলার চেয়ে বেশি বলেই তো তার নাম লেবু। আর এই লেবুর দাম তো সাধে ১৬০ টাকা চাইলাম না। আপনি পুরো বাজার ঘুরে আসেন, সবখানে এক দাম। গতকালও এই লেবু ৮০ টাকা ছিল। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে ৬০ টাকা বেড়েছে। আমরা তো বাড়াই নাই। পাইকারি দরে বেড়েছে।
টাউন হল বাজারে পরে দেশি কাগজি, বাতাবি ও বড় সাইজের লম্বা লেবুর খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেগুগলো ২৪০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে। আর হালি ৬০-৮০ টাকা।জানা গেছে, এসব লেবু স্বাদে অতুলনীয়। রসালো ও সুগন্ধী। নরসিংদী ও হবিগঞ্জে এই জাতের লেবুর চাষ প্রচুর হয়ে থাকে। সেখান থেকেই রাজধানীতে আসে। তবে মাঠ পর্যায়েই এই লেবুর দাম বেশি হওয়ায় তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।