কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ১৯ মাসের নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটিয়ে আগামী নভেম্বর থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য সীমান্ত খুলে দিবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে করোনাভাইরাসের পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া ব্যক্তিরাই ভ্রমণ করতে পারবেন। স্থল সীমান্ত ও ফেরি সীমান্ত ক্রসিং-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন মেক্সিকান ও কানাডিয়ানরা। যারা করোনার টিকা গ্রহণ করেননি তাদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য অবশ্যই করোনা টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট থাকতে হবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস এক বিবৃতিতে জানান, নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতিতে ভ্রমণ পুনরায় শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরে তারা অত্যন্ত খুশি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য সীমান্ত বন্ধ রেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। বাইডের প্রশাসন গত মাসেই ঘোষণা করেছিলো, দুই ডোজ টিকা নেয়া ব্যক্তিদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে।
নভেম্বরে সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তারিখ ঘোষণা করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে শিক্ষার্থী, ট্রাক চালক, মার্কিন নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ অতি প্রয়োজনীয় ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে সীমান্ত পারাপারের সুযোগ ছিল। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের মেক্সিকো বা কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য টিকার প্রমাণ দেখাতে হবে। কানাডা গত ৯ই আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্পূর্নরূপে টিকা দেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের সীমানা খুলে দিয়েছে। আর মেক্সিকোর সীমান্ত পুরো মহামারী জুড়ে খোলা ছিলো।
আগস্টে কানাডা টিকা দেওয়া মার্কিন দর্শনার্থীদের জন্য তার সীমানা পুনরায় খুলে দেয়, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার পুনরায় খোলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, “মিশিগান এবং কানাডার মধ্যে সম্পর্ক বাণিজ্য, ভ্রমণ এবং বন্ধুত্বের উপর নির্মিত। মিশিগান-কানাডা সীমান্ত পুনরায় চালু করাতে আমরা একত্রিত হওয়ার জন্য আমি কানাডা সরকার এবং আমাদের ফেডারেল অংশীদারদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমাদের প্রতিবেশীদের স্বাগত জানাতে আগ্রহী।”
তিনি আরো বলেন, “সীমানা পুনরায় চালু করে আমরা মিশিগানের অর্থনৈতিক গতিতে গড়ে তুলতে পারি। ২০২১ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল এবং আমাদের পরিবার, সম্প্রদায় এবং ছোট ব্যবসায়ে বিনিয়োগের জন্য ৩. ৫ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত আছে। আমি আমাদের কানাডিয়ান বন্ধুদের সাথে মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা করার জন্য উন্মুখ।”