
কুকুরের মাংস দক্ষিণ কোরিয়ার রন্ধনশৈলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেখানে বছরে অন্তত ১০ লাখ কুকুরের মাংস খাওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কুকুর মারার জন্য কোনো কসাইখানার লাইসেন্স দেয় না। কুকুর পালনকারীরা তাঁদের ঘরগুলোই কসাইখানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে খুব নির্মমভাবে কুকুর হত্যা করা হয়।
তবে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধের পক্ষে এবার কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। সোমবার সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট গত সোমবার একটি সাপ্তাহিক বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিউমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করার সময় কি এখনো আসেনি?’
দেশটিতে দীর্ঘ দিন ধরেই পশু অধিকারকর্মীরা দাবি করছিলেন, যেন কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করা হয়। এজন্য তারা দেশটির সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। এখন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যে পর দেশটিতে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধের দাবি আরও জোরালো হলো।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় পশু পালন বাড়ছে। সারা দেশে প্রায় ১৭ হাজার কুকুরচাষি রয়েছে। বাড়িতে অনেকে কুকুর পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুনও। তিনি কুকুর খুব পছন্দও করেন। প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদে রয়েছে বেশ কয়েকটি কুকুর।
সিবিএস নিউজে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ানদের কাছে একটি প্রিয় খাবার কুকুরের মাংস। সেখানে বছরে অন্তত ১০ লাখ কুকুরের মাংস খাওয়া হয়। সম্প্রতি সেখানে কুকুরের মাংসের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে অনেকেই কুকুরকে খাদ্য হিসেবে দেখার চেয়ে মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করছে। তাই তারা প্রিয় প্রাণীকে জবাই করতে চান না।