ইউক্রেনের অন্যতম দামি বিমান পরিষেবা স্কাইআপ এয়ারলাইন্স। তবে এটি আবার ইউরোপের অন্যতম স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন্স। তারা নারী কেবিন ক্রুদের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাধারণত বিশ্বের অধিকাংশ এয়ারলাইন্সে নারী কেবিন ক্রু’দের হাইহিল জুতা, টাইট ব্লাউজ এবং পেন্সিল স্কার্টসহ আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করতে হয়। কেবিন ক্রুরা কেমন পোশাক ও জুতা পরবেন, কী মেকআপ ব্যবহার করবেন, কীভাবে চুল বাঁধবেন তার সবই নির্দিষ্ট থাকে। কড়াকড়িভাবে এসব নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
কেবিন ক্রুদের দীর্ঘ সময় টাইট পোশাক ও হাইহিল পরে থাকতে হয়। এতে করে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন নারীরা। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে হাইহিল জুতা পরে থাকা কষ্টকর। তাই দীর্ঘ চিন্তাভাবনার পর কেবিন ক্রুদের পোশাকে ও জুতায় পরিবর্তন এনেছে ইউক্রেনের স্কাইআপ এয়ারলাইন্স।
এয়ারলাইন্সটিতে কর্মরত ২৭ বছর বয়সী দারিয়া সোলোমেনায়া বলেন, আমাদের পায়ে ১২ ঘণ্টা হাইহিল, কাইভ থেকে জাঞ্জিবার উড়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে ফিরে আসা। পরে আমাদের হাঁটতে কষ্ট হয়। এর মধ্যে আবার চার ঘণ্টা নিরাপত্তা পরীক্ষা ও পরিষ্কার কার্যক্রম করতে হয়। স্কাইআপ এয়ারলাইন্স তাদের ক্রুদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। দেখতে পায় যে, নারী কর্মীরা হাইহিল জুতা, টাইট ব্লাউজ এবং পেন্সিল স্কার্ট পরিধান করা নিয়ে বিরক্ত।
আগামী মাস থেকে পোশাকের নতুন এ নিয়মটি কার্যকর হবে। স্কাইআপ জানিয়েছে, সময় বদলেছে, নারীরাও বদলেছেন। টাইট পোশাক, হাইহিল, আঁটসাঁট করে খোঁপা করা, লাল লিপস্টিকেও পরিবর্তন আনতে হবে। ক্রেবিন ক্রুদের আরামের কথা ভেবেই এ পরিবর্তন এনেছেন তারা। ফলে এখন থেকে ক্রুদের আর হাইহিল জুতা কিংবা টাইট ব্লাউজ এবং পেন্সিল স্কার্ট পরিধান করতে হবে না। তারা আরামদায়ক পোশাক ও জুতা পরতে পারবে। খোপার বদলে ক্রুরা চুলও ছেড়ে রাখতে পারবে। পাশাপাশি মেকআপেও নমনীয়তা আনা হয়েছে। ঢিলেঢালা পোশাকের সঙ্গে একটি নীল রঙের স্কার্ফও রাখতে পারবেন ক্রুরা।