কবিঃ নীহার রঞ্জন দেবনাথ
উত্তাল জনসমুদ্রে শুনেছি–
অজস্র নিপীড়িত,ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার !
বলো হে ভগবান !
সৃজিত এ পৃথিবীটা, সত্যিই বলো কার ?
ক্ষুধার জ্বালায় বেরিয়ে গেছে যাদের বুকের পাঁজর
তারা কি কোনো ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা?
বিলাস বহুল অট্টালিকায় বসে খাচ্ছে যারা গাজা মদ,আফিমের স্বাদ গন্ধে জমজমাট যাদের ঘর
এ পৃথিবীটা কি শুধু তাদের ?
পৃথিবীর অন্ন-বস্ত্রহীন মানুষ গুলো আজ অসহায়
তাদের প্রতি নেই কারো নজর
হে নিয়ন্তা মহা-বিশ্বের, প্রভু জগদিশ্বর,
তুমি দাও হে সুনজর একবার ।
দিয়ে সুমতি এ বিশ্ব-মানবে–
বন্ধ করো হানাহানি,জাগাও মানবতা।
তরুণ বুকে জাগিয়ে দাও পবিত্র আগুন,
চলুক সংগ্রাম।
পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে বাজুক মরণ ধুণ
সকল মজুর দ্বীন শ্রমিকের ঘরে আসুক ফাগুন।
ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকারে দেখেছি–
অসহায়ত্বের বুকজ্বালা,বিফল প্রতিবাদী অশ্রু।
গৃহহীন যাঁরা খোলা আকাশের তলে উদ্বাস্তু বসনে
বিদেশী তকমায় ভাসছে নয়ন জলে ।
তবুও নিরবে তুমি,চেয়ে রয়েছো কেন হে ভগবান
কত সইবো আর এ বুকে অপমান ।
সর্বহারা উদ্বাস্তুর ঢল আজ রাজপথে নেমেছে,
মানুষে কাতরানো বুকের জ্বালায় আগুণ ধরেছে,
তবুও তোমার পদতলে প্রতিরোজ দেয় ফুল।
দিচ্ছে পরিয়ে তোমার গলায় কুসুম মালা
বলো হে প্রভু, তারা কি করছে ভুল?
হে মহান জগতপতি,দাও সুমতি সকল জনে
তুমি আর থেকো না নীরব।
আসুক সবাই বেরিয়ে একে অন্যের তরে,
জাগুক মানবিকতা,ফিরে আসুক শান্তি–
অশান্ত এ ভুবনে আসুক ফিরে সোনালি আলোর আভা
যাবতীয় পাপ পঙ্কিলতার হোক অবসান–
অন্যায়,অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক ক্রান্তি, হোক প্রতিবাদ।