শর্তে মুক্তির মেয়াদ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। স্থায়ী মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।এ-সংক্রান্ত একটি আবেদন বুধবার (৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দরের পক্ষে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার।
রবিবার (১৭ মার্চ) এবিএম সাত্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম এস্কান্দর) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি।’আবেদনপত্রে শামীম এস্কান্দর উল্লেখ করেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।’
সম্প্রতি স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এক দিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ড আবারও বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দুটি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। তার মুক্তির দুই শর্তে রয়েছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াচ্ছে।