
হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে যদি রাজপথে নামে, তাহলে যমুনায় কেউ টিকে থাকতে পারবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করে বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা—পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের আত্মত্যাগ, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, আওয়ামী শাসনামলে আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ও শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ড, জুলাই বিপ্লবে আলেম-ওলামা ও ছাত্র সমাজের অবদান, প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভূমিকা–কোনোটিই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সমাবেশের কারণে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এই কষ্ট দেশ ও জাতির আগামীর ভাগ্য নির্ধারনের জন্য, জামায়াতে ইসলামীর সকল কর্মসূচি দেশ ও জাতির স্বার্থে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অপূর্ণাঙ্গ জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দেবে! কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাকি সাংবিধানিক সেই ক্ষমতা নেই!
প্রশ্ন রেখে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তাহলে কোন সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে।
বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের আনুগত্য না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
পিআর পদ্ধতি জামায়াতের রাজনৈতিক দাবি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দাবি প্রতিটি নাগরিকের মতামতের মূল্যায়নের জন্য। পিআর পদ্ধতিতেই জনগণের সরকার ও সংসদ গঠিত হয়। তাই পিআর পদ্ধতিসহ ৭ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।