বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে সিরিজে সমতায় পাকিস্তান

ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে চমৎকার বোলিংয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন আবরার আহমেদ। আবরার ও সালমান আলি আগার স্পিনে প্রতিপক্ষকে দেড়শর আগে থামিয়ে দিল পাকিস্তান। পরে রান তাড়ায় তাণ্ডব চালালেন সাইম আইয়ুব। তার বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।

বুলাওয়ায়োতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয় ১০ উইকেটে। এই সংস্করণে পঞ্চমবার কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের স্বাদ পেল এশিয়ার দলটি।

আবরারের লেগ স্পিন ও সালমানের অফ স্পিনে জিম্বাবুয়েকে ১৪৫ রানে গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। পরে সাইমের খুনে ব্যাটিংয়ে স্রেফ ১৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৮০ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডে আগামী বৃহস্পতিবার।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। তাদের ভুগিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। বিশেষ করে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও অফ স্পিনার আগা সালমান। দুজনে মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। আবরার ৮ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৩ রান দিয়ে। সালমান ৭ ওভার বোলিং করে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট অন্য দুই স্পিনার সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম।

৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে, রানআউট হয়ে ফেরেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি। এরপর ২৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ডিওন মায়ার্স ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রান তোলার পর আউট হয়ে ফেরেন মায়ার্স। দলের ৬৮ রানে ফেরেন আরভিনও। শেষ ৬ উইকেট জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে ৪৮ রানের মধ্যে।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আইয়ুব, করেন ৬২ বলে ১৭ চার ও ৩ ছয়ে অপরাজিত ১১৩ রান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেই এটি সাইমের প্রথম সেঞ্চুরি। দেখেশুনে খেলে আবদুল্লাহ শফিক অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৩২ রান করে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১