মাঠঘাট, রাস্তায় কিংবা বাড়ির উঠোন বা যেকোনো স্থানে গোবর ফেলছে গরু, এটাই পরিচিত দৃশ্য। তবে ওদেরও অভ্যেস বদলাতে পারে। টয়লেটে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করতে পারে গরুও। গল্পের গরু গাছে ওঠে, আর বাস্তবের গরু চার দেয়ালঘেরা শৌচালয় গিয়ে শৌচকর্মের পর ‘ফ্লাশ’ করে জায়গা পরিষ্কার করে দিয়ে আসছে! শুনে অবাক হচ্ছেন? বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ‘কারেন্ট বায়োলজি’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে।
গরুকে যতটা বোকা মনে করা হয় তা কিন্তু নয়। তারা বেশ চালাক-চতুর। কোনোকিছু শেখালে চটপট শিখে নিতে পারে। মানবশিশুর থেকেও বেশি তাড়াতাড়ি অনেক কিছু আয়ত্ত করতে পারে তারা। প্রয়োজন হলে দরজা খুলে টয়লেটেও যেতে পারে এ প্রাণী। ক্ষেতখামারে যেখানে সেখানে মূত্র ও মলত্যাগ করে না। কাজ হয়ে গেলে বাথরুম অপরিষ্কার হয় সেটা ভালোই বোঝে। তাই মলমূত্র ত্যাগের পর বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য ফ্লাশ করতেও পারে তারা। এরপর কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবে দরজা খুলে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকেই এমন তথ্য জানা গেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা পত্রিকা কারেন্ট বায়োলজিতে। যৌথভাবে এ গবেষণা চালিয়েছে জার্মানির ‘রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফার্ম এনিম্যাল বায়োলজি (এফবিএন)’ ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
জার্মানিতে সংঘটিত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের একটি নির্ধারিত টয়লেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। একটি খামারে ১৬ টি গরুকে টয়লেট ব্যবহার করতে শেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। প্রথমত তারা দেখেছেন, মল-মূত্র ত্যাগ করার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নেয় গবাদি পশুরা। ব্যাপারটা এমন নয় যে অপেক্ষা করতে না পেরে তারা হঠাৎই মল-মূত্র ত্যাগ করে ফেলে। ১০ বার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর গবেষকরা দেখেছেন যে ১১ টি গরু সফলভাবে টয়লেট প্রশিক্ষণ পেয়েছে।