মুমিনের জীবনে অশুভ কিছু নেই। সব কিছুতে কল্যাণ নিহিত। তবু সবাই শুভ সকাল কামনা করে। মুমিনের সকাল বিশেষভাবে শুভ হওয়ার কিছু আমল উল্লেখ করা হলো—
এক. যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে আগে আগে ঘুম থেকে উঠে তার দিনটি শুভ ও নিরাপদ। ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগি নয়, বরং পার্থিব কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।
এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাহাবি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)
দুই. ফজরের কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে যার দিন শুরু হয়, দিনটি তার জন্য শুভ ও নিরাপদ। ফজরের তিলাওয়াত নিয়ে কোরআনে আয়াত আছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ফজরের সময় কোরআন তিলাওয়াতে যত্নবান থাকো। স্মরণ রেখো, ফজরের তিলাওয়াতে (ফেরেশতাদের) সমাবেশ ঘটে থাকে।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৮)
তিন. ফজরের সালাতের মাধ্যমে যার দিন শুরু হয়, সমূহ কল্যাণ নিয়ে তার দিনটি শুরু হলো। ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়ার সবচেয়ে দামি জিনিস। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, সব কিছু থেকে উত্তম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৭৩)
চার. সুস্থতা, অভাবহীনতা ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যার দিন শুরু হয়েছে, দিনটি তার জন্য শুভ ও নিরাপদ। উবাইদুল্লাহ ইবনু মিহসান আল-খিতনি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয়, সুস্থ শরীরে দিনাতিপাত করে এবং তার কাছে সারা দিনের খোরাকি থাকে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াটাই একত্র করা হলো। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৬; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৪১৪১; আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩০০)
মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি দিন শুভ ও নিরাপদ করে দিন।