শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নানা সমীকরণের এক ভোট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। নানা সমীকরণের এক ভোট। প্রধান বিরোধী জোটের বর্জনের মধ্যদিয়ে হতে যাওয়া ভোটের জয়-পরাজয়ের হিসাব চুকে গেছে আগেই। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করার মতো আসনে জয়ী হচ্ছে এমনটা ধরে নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও। হিসাব শুধু বাকি বিরোধী দল নির্বাচন নিয়ে। সংসদে বিরোধী দলের আসনটি নির্বাচন হতে পারে ভোটে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবার সেই আসনটি হারাতে যাচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। তাদের জায়গায় কাদের দেখা যাবে, সেটি আজ রাতেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর হতে যাওয়া এবারের সংসদ নির্বাচনটি ঘিরে আছে ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ। কঠিন চ্যালেঞ্জ আর ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা সামনে রেখে ভোটে মাঠে নেমেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

 

নজিরবিহীনভাবে নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এছাড়া সরকারি দল জোটসঙ্গী শরিক দল ও মিত্র দলের প্রার্থীদের জন্য আসন সমঝোতা করেছে। যেসব দল ও জোট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ছাড় দেয়া আসন থেকে। নিজ দলের প্রার্থী আর ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এর বাইরে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকলেও এবার জাতীয় পার্টির অবস্থান নড়বড়ে। নির্বাচনের পুরো সময় দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ছিলেন অনেকটা আড়ালে। দলটির প্রার্থীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি তারা। এমন অবস্থায় একে একে দলটির অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যারা মাঠে আছেন তারাও নির্বাচনী তৎপরতায় ছিলেন না। এমন অবস্থায় আজকের জাতীয় নির্বাচনটি দেশের রাজনীতির ইতিহাসে যুক্ত করতে যাচ্ছে নতুন এবং ব্যতিক্রমী এক অধ্যায়।

 

 

কে হবেন বিরোধী দলের নেতা? নানা কারণে ব্যতিক্রম এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে তফসিল ঘোষণার পরই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরুনের পর তা আরও পরিষ্কার হয়। কিন্তু বিরোধী দল কে হবে তা আজ নিষ্পত্তি হবে। ভোটের আগে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের স্থানটি পেতে দেন-দরবার করলেও শেষ মুহূর্তে দলটি এবার বিরোধী দলের স্থানটিও হারাতে পারে। আলোচনা আছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট বিরোধী দলের জায়গা নিতে পারেন। নেতৃত্ব দিতে পারেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের একজন নেতা। এই নেতা এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। এক সময় বিএনপি করতেন। এমপিও হয়েছেন আগে। আলোচনা আছে সমঝোতায় নির্বাচন করলেও জাতীয় পার্টি এবার খুব বেশি আসন পাচ্ছে না। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সারা দেশে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নানা সমীকরণে তাদের অনেকে জয়ী হয়ে আসতে পারেন। বিজয়ী প্রার্থীদের এই সংখ্যাটি জাতীয় পার্টির চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। এ ছাড়া কিংস পার্টি খ্যাত দলগুলোও হাতেগোনা দু’-একটি আসন পেতে পারে। যারা বিরোধী দল বা বিরোধী দলের জোট গড়ার মতো অবস্থানে থাকবে না।

 

মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে ইসি’র স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ই জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ই জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত কতিপয় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছেÑ ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১