মিশিগান প্রতিদিন ডেস্কঃ অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা এলাকায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ ও বাংলাদেশের নামে রাস্তার নামকরণের প্রচেষ্টা ছিল স্থানীয়দের। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের স্রোত এসে মিশেছে নিউইয়র্কে। সেই দলে প্রতিদিনই বাড়ছে বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যাও। গোটা যুক্তরাষ্ট্রে যত বাংলাদেশির বাস, তাদের বেশিরভাগই থাকেন নিউইয়র্কে।
আবার পরিসংখ্যান বলছে, নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ৬৫ শতাংশের আবাস কুইন্সে। ফলে দিনে দিনে যে দাবিটি জোড়ালো হয়েছে, এবার বাস্তব হয়েছে সেই আশা। অনেকে নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। শেষমেশ রাস্তার নামকরণের সুযোগ আসে।
সাউথ এশিয়ান আমেরিকান ভয়েস নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ তুহিন প্রস্তাবটি রাখলে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ২৪ এর কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো তা সিটি কাউন্সিলে উত্থাপন করেন। পরে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি পাস হয়।
দিনটি ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী এই দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালির শোক ও অর্জনের মহান সেই দিনটিতেই নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এলো আনন্দঘন এক উদযাপনের উপলক্ষ্য। পৃথিবীর রাজধানী বলে ডাকা হয় যে শহরকে, সেই নিউইয়র্কের একটি রাস্তার নাম এখন ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’।
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রেসিডেন্ট ডে’র সরকারি বন্ধ। ফলে জ্যামাইকার হোমলন স্ট্রিটে জড়ো হন অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি। এই হোমলন স্ট্রিট এখন পরিচিত হবে ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’ নামেও। দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকতার জন্য নির্ধারিত থাকলেও সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন অনেকে। সেখানকার সড়কদ্বীপে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। আর সেখানে বাজতে থাকে জাগরণের সব গান। বাংলাদেশের পতাকা আর ফুল নিয়ে হাজির হন অনেকে।