
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে সারা দেশে। এরই অংশ হিসেবে সরব হয়ে উঠেছেন পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থীরা।
আসনটিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এছাড়াও এই আসনে শক্ত প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ছাড়াও উঠান বৈঠকে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির আগামী নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন—এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিএনপি থেকে অন্য কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে আগেভাগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের জেলা আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন এ আসনে একক প্রার্থী হচ্ছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে জেলায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে জামায়াত ইসলামী। কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশসহ বেশকিছু সভা-সমাবেশ করেছে দলটি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে নেই জামায়াতের প্রার্থী ।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও গণসংযোগে পিছিয়ে নেই। অন্যায়, ঘুস, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ’ ঘোষণা করেছেন তিনি। পঞ্চগড়ের সন্তান হিসেবে এখানকার মানুষ তাকে মূল্যায়ন করবে—এমনটি আশা করেন তিনি। দল গঠনের পর বিশাল গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন দেওয়ার পর থেকেই তিনি আলোচনায় আসেন। এরপর কয়েকবার তিনি পঞ্চগড়ে এসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভোটবাক্স, জামায়াতের জনবান্ধব রাজনীতি এবং জুলাই বিপ্লবের অংশীজন হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি—ভোটের মাঠে এ ত্রিমুখী লড়াই দেখতে পারেন পঞ্চগড়বাসী। বিশেষ করে পঞ্চগড়-১ আসনে এ ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তারা।