
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারাই নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তাই রাজনীতিতে দলগুলো টিকতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের মানুষ রাজনীতিতে আসবে না, ভোটকেন্দ্রে মানুষ ভোট দিতে যাবে না। সরকারের ফরমায়েশ মোতাবেক নামমাত্র দল থাকবে, নেতা থাকবে। সেসব দলের বা নেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত সংগঠন থাকবে না বা দেশের মানুষের সমর্থন থাকবে না। সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, তাই কাউকেই দোষারোপ করা যায় না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের প্রায় নব্বই ভাগই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির হাতে। তাই বর্তমান সরকারব্যবস্থাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না। রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সিনিয়র জিএম সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা এতে সভাপতিত্ব করেন। জিএম কাদের বলেন, ১৯৯১ সালের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং প্রায় ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে অবনতির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। পার্টির দিকে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। এ কারণেই প্রতিদিনই সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলে শামিল হচ্ছেন।