অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসের পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। পত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) এই পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।
এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।
জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ চট্টগ্রাম অবস্থান করায় মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দেওয়া হতে পারে মুরাদ হাসানকে।
এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) অশালীন, শিষ্টাচারবর্জিত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে আজকের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।