নিজেদের প্রধান কোচ হিসেবে গ্যারি কারস্টেন ও গিলেস্পির নাম ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের দায়িত্ব পেয়ে নিজের প্রাথমিক পরিকল্পনা ঠিক করে ফেলেছেন এই দুই কোচ। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঐক্যবদ্ধ করতে চান তারা।
কারস্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এশিয়ান দলটির সঙ্গে আগামী দুই বছর কাজ করবেন ভারতকে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচ। সহকারী হিসেবে আজহার মাহমুদকে পাচ্ছেন তিনি। এছাড়া লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নতুন প্রধান কোচ গিলেস্পি।বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল গুজরাট টাইটান্সের দায়িত্বে থাকা কারস্টেন বলেন, ‘ক্রিকেটে বেশকিছু সুন্দর দিক আছে। এর মধ্যে একটি হলো সার্বজনীনতা। আমার লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তানের সাদা বলের পুরুষ দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে তাদের এক করতে চাই।’
কোচিংয়ের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেন তিনি, ‘প্রথমত, আমি কোচিং ভালোবাসি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি অনেক বছর ধরেই ছোট সংস্করণের ক্রিকেটে কোচিং করাচ্ছি। এখানে প্রতিটি ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনা থাকে সেটি সত্যিই রোমাঞ্চকর। কোচিংয়ের দিক থেকে ছোট সংস্করণটা একটু অন্য রকম। এখানে কোচদের ভিন্ন কিছু করার বড় সুযোগ। সেদিক থেকে আমি বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটের কোচিংটা খুব পছন্দ করি।’
এই মাস্টার মাইন্ড আরও বলেন, ‘পাকিস্তান পুরুষ দলের সাদা বলের দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আবার আন্তর্জাতিক কোচিংয়ে ফিরতে যাচ্ছি। আমি সুযোগটা কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছি। পাকিস্তানের পুরুষ দলকে সাদা বলের ক্রিকেটে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’
এদিকে গিলেস্পি পাকিস্তান দল থেকে সেরাটা বের করে আনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আপনি যা তাই থাকতে হবে। আমি বলব, ইতিবাচক হও, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলো। মুখে হাসি নিয়ে দর্শকদের বিনোদন দাও। আবার এমন সময়ও আসবে, যখন লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আর এটাই টেস্ট ক্রিকেট। দক্ষতা, মানসিকতা ও ধৈর্যের পরীক্ষা। কখনো আক্রমণ করতে হবে, আবার কখনো চাপ নিতে হবে। যদি এসব ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিক হতে পারি, তাহলে স্কোরবোর্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর আমরাও কিছু জয়ের মুখ দেখতে পারব।’