রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফিরবে শকুনের ‘সুদিন’

কয়েক যুগ আগেও গ্রামে-গঞ্জে যেখানে-সেখানে দেখা যেত শকুন।মাঠে গরু মরে পড়ে থাকলে ঝাঁক বেঁধে নামত শকুন। দিনে দিনে প্রকৃতির এ ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ বিলুপ্তির পথে। ১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন।তবে গত ১০ বছরে শকুন রক্ষায় সরকারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত এবং আইইউসিএনের নানা উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।বিশেষজ্ঞদের আশা, শকুনের সুদিন ফিরে আসবে।সঠিকভাবে শকুনের পরিচর্যা করলে বাংলাদেশের আকাশে আবার তাদের দেখা মিলবে। পরিবেশবিদেরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করা বর্জ্যভুক প্রাণী শকুন।এটি শুধু প্রকৃতিকে পরিস্কারই রাখে না, জীবাণুমুক্তও রাখে।মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে শকুন। বিভিন্ন রোগের জীবাণু যেমন অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্ণা রোগের সংক্রমণসহ অন্তত ৪০টি রোগের ঝুঁকি থেকে মানুষ ও পশু-পাখিকে রক্ষা করে।শকুন আকাশে উড়ে বেড়ানোর সময় নিচের সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পায় বলে প্রাণীর মৃতদেহ দেখে নেমে আসে।একদল শকুন মাত্র ২০ মিনিটে একটি গরুর মরদেহ খেয়ে শেষ করে দিতে পারে।শকুন মড়াখেকো মাংসাশী পাখি।তাই তাকে কেউ ভালো চোখে দেখে না।লোভী আর নির্দয় কাউকে কটাক্ষ করতে গিয়ে অনেকে শকুনের সঙ্গে তুলনা করে থাকে।শকুনের প্রতি নাক সিঁটকানো এই মনোভাবের কারণে পাখিটির বংশ নিপাত হওয়ার জোগাড়। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে, উপলব্ধি হয়েছে শকুন মানুষের শত্রু নয়, বরং বন্ধু।গবেষণায় শকুন সম্পর্কে বেরিয়ে আসছে অজানা তথ্য।বলা হচ্ছে যে শকুন পচা-গলা মাংস খাওয়াসহ ভয়াবহ অনেক জীবাণু হজম করে থাকে।এ জন্য আজ একটু শুভকামনা।শকুন রক্ষায় আজ শনিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস’।

 

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১