চার দিন নিখোঁজ থাকার পর খুঁজে পাওয়া গেছে লন্ডনে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হাফিজাকে। গত সোমবার রাত ১১.৩০ মিনিটের দিকে বাসায় ফিরেছেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় বোন জয়নব এই খবর নিশ্চিত করেছেন। যা বিবিসিসহ স্যোশাল মিডিয়ায় আবারো ভাইরাল হয়েছে।
লন্ডনের নিউহামের সেন্ট্রাল পার্ক রোডের বাসিন্দা ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রী হাফিজা নিখোঁজ হয়েছিলেন গত ৭ অক্টোবর। তিনি স্ট্রাাটফোর্ডের সারা বোনেল গার্লস স্কুলের ইয়ার টেনের শিক্ষার্থী। ওই দিন স্কুল থেকে বাসায় না ফিরলে তার পরিবার চারদিকে খুজঁতে থাকে। বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তার হারিয়ে যাওয়ার খবর।
তার পরিবার পুলিশকে জানালে সবাই মিলে খুঁজতে থাকে ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুণী হাফিজাকে। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, হোয়াটসআপ, ফেসবুক ইত্যাদিতে হাজার হাজার পোষ্ট শেয়ারের মাধ্যমে মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে টাওয়ার হ্যামলেটস ও নিউহ্যামের বিভিন্ন রাস্তার গাছ, পিলার, বাসস্টপে ছড়িয়ে দেয়া হয় হাফিজার ছবিসহ হারিয়ে যাওয়ার পোষ্টার। পোস্টারে আবেদন করা হয়, কেউ যদি হাফিজাকে খুঁজে পান তাহলে যেন অবশ্যই পুলিশ অথবা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।
এদিকে হাফিজা নিখোঁজের পর থেকে মেট পুলিশের নিউহ্যাম শাখা বেশ দায়িত্বশীলতার সাথে হাফিজাকে খুঁজে গেছে।তারাও স্বচেষ্ট ছিলো হাফিজা যেহেতু কিশোরী তাই তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। তারা ভোর রাত্রের দিকে টুইট করেছ “ভালো খবর, হাফিজাকে খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সবাই বিশেষ ধন্যবাদ যারা হাফিজার নিখোজ সংবাদ শেয়ার করেছেন, সবার প্রতি শুভকামনা।”
এই সংবাদে কমিউনিটিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে স্কুল শিক্ষিকা সাবিনার লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ইতিমধ্যে কমিউনিটিতে আতংক বিরাজ করছে। তবে হাফিজার খুজ পাওয়ার খবরে আতংক কিছুটা হলে কমবে বলে মনে করছেন কমিউনিটির মানুষ।
হাফিজা এই ৪ দিন কোথায় ছিলেন, কিভাবে ছিলেন, কিভাবে উদ্ধার হয়েছেন, তার কোন তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে বড় বোন জয়নব, হাফিজাকে খুঁজে পেতে ব্যাপক প্রচারণার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু জানাতে পারছি না। কিন্তু আমরা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, হাফিজাকে খুঁজে পেতে সহায়তার জন্য। যারা পোস্টার লাগিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি তার বোনের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।