
সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনের খবর নিয়ে পাঠক কী ধরনের মনোভাব পোষণ করছেন সেটি তাৎক্ষনিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়না। কিন্তু অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠকদের মনোভাব তাৎক্ষনিকভাবে পরিমাপ কারা যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা অন্য যে কোন কোন পেশাজীবী যদি তাদের ফেসবুকে কোন বক্তব্য তুলে ধরেন সেটি বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিরোনাম হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিবর্তন আসছে।
কিন্তু লক্ষণীয় হলো, ফেসবুকের যেমন ব্যাপক সুবিধা আছে তেমনি ফেসবুকের অপব্যবহার যেন বেড়ে চলছে। কারো সঙ্গে কারও বিরোধিতা থাকতে পারে। সেই বিরোধিতা করতে গিয়ে ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়।কোনো ব্যক্তি কিংবা তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে মিথ্যা প্রচার করা হয়।
অনেকে আবার বিভিন্ন ছবি এডিটিং এর মাধ্যমে নোংরা ছবি ফেসবুকে প্রচার করে থাকেন। এর ফলে যার ছবি প্রচার করা হয় তাকে এবং তার পরিবারকে সমাজের কাছে হতে হয় লজ্জিত। যারা এই নোংরা ছবি কিংবা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন তারা তাদের নোংরা মনমানসিকতার পরিচয় দেন এ ফেসবুকের মাধ্যমে।
অনেকে আবার বিভিন্ন ধমের্র উপসানালয় কিংবা পবিত্র জায়গাগুলোর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন ছবি এডিটিং করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের একে অপরে সঙ্গে সংঘষের্র সৃষ্টি হয়।
বতর্মান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক এমন একটি মাধ্যম যেটি ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে থাকে।
তথ্য জানার জন্য মানুষ আগের মতো অপেক্ষার প্রহর গুণছে না।একসময় তথ্য বা খবর জানার একমাত্র উৎস ছিল গণমাধ্যম।খবর এখন মানুষের হাতের মুঠোয়।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অত্যাধুনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু পেয়ে যাচ্ছে।ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা বতর্মান বিশ্বের রাজনীতি, অথর্নীতিসহ বিভিন্ন খবর জানতে পারি।আমাদের দৈনিক জীবনের সঙ্গে যেন মিশে আছে ফেসবুক।
ফারজানা চৌধুরী পাপড়ি