কামরুজ্জামান হেলাল, মিশিগানঃ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ জন কর্মকর্তাকে আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
গত ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুবর্নজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি ভ্যানুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত সরকারী কর্মকর্তা এবং অপরাপর সংগঠনগুলোর অসচেতনতার কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা আবারও মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ রাব্বী আলমের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহীন ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মাহবুব রাব্বি খানের প্রানবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেষ্ট্য উপদেষ্ঠা হিন্দাল কাদির বাপ্পা,বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযাদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, মহিলা সহ-সম্পাদিকা নুরুন আলম, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সাধারন সম্পাদক মিনহাজ রাসেল চৌধুরী, পলিটিক্যাল সেক্রেটারী আবদুল মুকিত, কোষাধক্ষ্য অপ্রেরেশ বড়ূয়া, ইলিয়ার রহমান কার্যকরী পরিষদ সদস্য, আকবর আলী কার্যকরী পরিষদ সদস্য, মুহিব আহমেদ জেমস কার্যকরী পরিষদ সদস্য, নুরুজ্জামান সরদার সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র সেচ্ছাাসেবক লীগ, নাফিকুর রহমান সাধারন সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র সেচ্ছাসেবক লীগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর এবং মিজানুর রহমান সভাপতি আলবেনী আওয়ামীলীগ ।
প্রধান অতিথী হিন্দাল কাদির বাপ্পা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে দূর্বল করার জন্য আবারও মাঠে নেমেছে পূরনো শকুনগুলো। এই শকুনগুলো জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশ কনসুলেটের সমালোচনা করে বলেন তারা তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছেনা। তিনি বর্তমান কনসুলেট কর্মকর্তাদের দেশে পাঠিয়ে দেশ প্রেমিক অফিসারদেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানান।জাতিসংঘের সামনে এবং হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহন করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের প্রতি আহবান জানান।
ডঃ রাব্বী আলম বলেন দেশের বিরুদ্ধে তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্রের মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ অতীতের মত এখনও প্রস্তুত। তিনি বলেন স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি, পররাষ্ট্র সচিব ব্লান্কিন এবং সিনেট মেজোরিটি নেতা চাক সুমারসহ স্টেট ডিপার্টমেন্টে স্নারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাকে আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যখন ভিসন ২০৪১ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে সেই মুহুর্তে ৭১ এর পরাজিত শক্তি যুক্তরাষ্ট্রে মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুচক্রী মহলের এই পরিকল্পনা কখনও বাস্তবায়ন হতে দিবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ বলেন দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে তখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করছে উন্নয়ন বিরোধী জামাত শিবির চক্র।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিনহাজ রাসেল চৌধুরী বলেন ড. রাব্বী আলমের গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো । আমরা অতীতে ও এদের বিরুদ্ধে ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছি । আমারা আবারো প্রয়োজনে আইনি ব্যাবস্থা নিতে প্রস্তুত আছি ।
যুক্তরাষ্ট্র সেচ্ছাাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সরদার বলেন, আমাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্টীম রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবসথান করছে তাই বর্তমান পরিস্তিতিতে ডঃ রাব্বী আলমের মত সাহসী নেতৃবৃন্দকে কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহীন বলেন, মেইন স্টীম রাজনীতির সাথে সেতুবন্ধন সম্ভব একমাত্র সাহসী রাজনৈতিক নেতা ডঃ রাব্বী আলমের পক্ষে। তিনি অবিলম্বে স্নারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন সভা সমাবেশ আয়োজনের জন্য ডঃ রাব্বী আলম এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিন্দাল কাদির বাপ্পার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ৭১ এর পরাজিত শক্তির হাতকে অচিরেই দূর্বল করে দিতে হবে। মোঃ শাহীন অনান্য সংগঠনগুলো যখন নির্বিকার হয়ে বসে আছে তখন ডঃ রাব্বী আলমের নেতৃত্বে আজকের এই প্রতিবাদ সভার আয়োজনই প্রমান করে সঠিক সময়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের জন্য ডঃ রাব্বী আলমের মত সাহসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রয়োজন।