২০২০ সালে যুক্তরাজ্য সরকারের করা করোনাকালীন আইন না মানা একটি ছবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দেখা গেছে। ওই আইনে ছিল করোনা মহামারিজনিত কারণে মাত্র দুজন মানুষ একে অন্যের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাবে। আর রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান আইন প্রণেতার এমন আচরণ ও আইনভঙ্গ যুক্তরাজ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্র প্রকাশিত ছবিতে জনসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারিকে তাঁদের নবজাতকের সঙ্গে দেখা গেছে। তাঁদের পাশে ডাউনিং স্ট্রিট গার্ডেনে একটি টেবিলের চারপাশে বসে আছেন কিছু কর্মী, ওয়াইনের গ্লাস হাতে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২০ সালের মে মাসে একটি সামাজিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় এবং ডাউনিং স্ট্রিটে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সামাজিক বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করা হয়েছিল- এমন অভিযোগ অস্বীকার করার পর ছবিটি প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান।
জনসনের একজন মুখপাত্র বলেন, ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা বাগানে কাজ করছিলেন। তবে ২০২০ সালের মে মাসে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ১৯ জন লোক বাগানে ছিলেন। তাঁরা সরকারি বিধি-নিষেধ মানেননি।
জনসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারিকে (তাঁদের নবজাতককে ধরে রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে) একটি টেবিলে চিজবোর্ড এবং ওয়াইনসহ দুজনের সঙ্গে ছবিতে দেখা যায়। তাঁদের একজন সরকারি কর্মচারী এবং একজন সহযোগী। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে প্রায়ই ডাউনিং স্ট্রিট বাগানে কাজের মিটিং হয়। এটিও তেমনই একটি মিটিং ছিল।
নতুন প্রকাশিত ছবিটি জনসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে বিরোধীরা করোনভাইরাস প্রবিধান নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে, উত্তর শ্রপশায়ারে একটি বড় উপনির্বাচনে পরাজয় এবং ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্টের পদত্যাগ নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত জনসন।
ছবিটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা ক্রিসমাস পার্টি এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। জনসন অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদসচিব সাইমন কেসকে পদত্যাগ করতে হয়।