যুক্তরাজ্যে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। বিচ্ছেদের পর সেই খুশিতে বন্ধুদের নিয়ে একটি পার্টি দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, দুই সন্তানের জননী একজন নারীর ঝলমলে রঙিন পোশাকের ওপর ’ফাইনালি ডিভোর্স’ লেখা ছবি ভাইরাল হওয়ার পর জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনে তিনি এখন ‘মুক্ত’ মনে করেছেন।
৪৫ বছর বয়সী সোনিয়া গুপ্ত নিজের বিবাহিত জীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি উপলক্ষে ডিভোর্স পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের। তিনি তার অথিতিদেরও রঙিন পোশাক পরে আসতে বলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন পার্টির থিমটি তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে যাক।
সোনিয়া পেশায় একজন হিসাবরক্ষক। তিনি বলেন, তার স্বামী ছিলেন পুরোপুরি তার বিপরীত। তার বিয়ে তাকে নিস্তেজ করে দিয়েছে। শুরু থেকেই তিনি জানতেন যে তারা একে অপরের জন্য উপযুক্ত নয়।
২০০৩ সালে ভারতে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পরই তিনি অনুধাবন করেন, তাদের বিবাহিত জীবন সুখের নয়। এরপর বহু বছর ধরে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
বিয়ে ভাঙার ব্যাপারে সোনিয়া বলেন, “আমি যখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার পরিবারকে জানাই, তারা আমার এই সিদ্ধান্ত একদমই মেনে নেয়নি। কিন্তু আমার দুই ছেলে আর বন্ধুরা আমাকে সব সময় সমর্থন জানিয়েছেন।”
তিনি এশিয়ান সিঙ্গেল প্যারেন্ট নেটওয়ার্ক থেকেও সাহায্য পেয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে ডিভোর্স কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু তা কার্যকর হতে তিন বছর অতিবাহিত হয়। আদালতের নানা আনুষ্ঠনিকতা সম্পূন্ন করে অবশেষে তাদের বৈবাহিক জীবন শেষ হয়।
সোনিয়া বলেন, “আমি এ বছরগুলোতে অনেক কিছু শিখেছি এবং অনেক শক্তিশালী নারী হয়েছি। আমি সব সময় চেয়েছিলাম পুরনো আমাকে ফিরে পেতে। আমি এখন মুক্ত মনে করি। আমি যেন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি এবং এখন আমি সত্যিই আমার সেরা জীবন যাপন করছি।”
তিনি যে, ‘ডিভোর্স পার্টি’ আয়োজন করেছিলেন তা ছিল তার বাবা-মাকে দেখানো, যারা শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন।
মরিয়ম চৌধুরী-মিশিগান প্রতিদিন