তিন বছর বয়সী কুকুর। নাম তার লউ। সবচেয়ে লম্বা কান নিয়ে এই বছরের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে লউ।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিন বছর বয়সী লউয়ের গায়ের রং কালো ও ধূসরের মিশেলে। সে দেখতে মিষ্টি, এবং একটি স্মার্ট কুকুর। লউয়ের অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক মাপের। তবে তার কান দুটো বেশ লম্বা। মেপে দেখা গেছে, লউয়ের কান ১৩ দশমিক ৩৮ ইঞ্চি লম্বা। বড় আকারের দুটো কান কুকুরটিকে বৈশ্বিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। লউয়ের মতো এত বড় আকারের কান বিশ্বের আর কোনো কুকুরের নেই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউপিআই জানিয়েছে, লউয়ের বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যে। পেইজ ওলসেন নামের স্থানীয় এক নারী কুকুরটির মালিক।
পেশায় পশু চিকিৎসাকর্মী ওলসেন জানান, তিনি আগে থেকেই দেখে আসছিলেন, লউয়ের কান দুটো বেশ বড় আকারের, যা অন্যান্য কুকুরের তুলনায় বেশ লম্বা। তবে আগে কখনোই কুকুরটির কানের দৈর্ঘ্য মাপা হয়নি। করোনা মহামারির সময় লউকে অন্য জায়গায় আশ্রয় দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। ওই সময় কুকুরটির কানের দৈর্ঘ্য মাপা হয়। পরবর্তী সময়ে রেকর্ডের খাতায় নাম লেখাতে আবেদন করা হয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় যাচাই–বাছাই শেষে বিশ্ব রেকর্ডের বইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কানের জীবিত কুকুর হিসেবে লউয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ওলসেন আরও জানান, এত লম্বা কানের জন্য লউয়ের কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই। এমনকি আলাদা করে কুকুরটির কানের কোনো যত্ন নিতেও হয় না। তিনি বলেন, সবাই লউয়ের লম্বা কান দুটো ভীষণ পছন্দ করে। ছুঁয়ে দেখতে চায়। ব্যতিক্রমী কানের জন্য সবাই লউকে ভালোবাসে। এর আগেও কুকুর নিয়ে কয়েকটি আয়োজনে পদক জিতেছে লউ।