অনেকেই বলেন ছেলেরা বিয়ে পাগল হন। অনেকেই বয়স হতে না হতেই বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যান। কথাটি কিন্তু পুরোপুরি সত্য নয়। বিয়ে জিনিসটা মেয়েদের কাছে যেমন মিশ্র অনুভূতির ব্যাপার তেমনই ছেলেদের কাছেও। যে মেয়েটিকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসবেন তিনি কেমন হবেন, পরিবারে কেমন থাকবেন, সুখ থাকবে কিনা পরিবারে, নিজের কোন কোন অভ্যাসে পরিবর্তন এসে যাবে এই সকল চিন্তা ঘোরে ছেলেদের মনেও। তাই ছেলেদের বিয়ে করার আগে একটু হলেও নিজেদের প্রস্তুত করে নেয়া উচিত। জানতে চান কী কী করা উচিত? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে নিন
বিয়ে অনেক বড় একটি দায়িত্ব। তাই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নেয়া অনেক বেশি জরুরী। নিজেকে এইটুকু কথা অন্তত মানিয়ে নেয়া উচিত যে ‘বিয়ের পর জীবনযাপনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে এবং তা ভালোর জন্যই’।
২) সঙ্গিনীর সাথে বড় ধরণের একটি ঝগড়া করুন
শুনতে বেশ অবাক মনে হলেও এই জিনিসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঝগড়া করা, ঝগড়ায় লজিক ব্যবহার করা এবং ঝগড়া কতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে কোন অবস্থানে যেতে পারে তা বেশ ভালো করে বুঝে নিতে পারবেন যা সংসার জীবনে বেশ কাজে লাগবে।
৩) একটু মিতব্যয়ী হওয়া এবং সঞ্চয় শুরু করা
বিয়ের পর তো নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না আপনার সংসারে এসে আপনার বউ টানাটানি দেখুন অথবা আপনি তো নিশ্চয়ই চাইবেন না বাবার টাকায় বউয়ের খরচ চালাতে। তাই এখন থেকেই একটু মিতব্যয়ী হোন, সঞ্চয় করতে শিখুন।
৪) টুকটাক রান্না শিখে নিন
আপনাকে পুরোদমে রান্না শিখতে বলা হচ্ছে না, খুব কমন কিছু রান্না শিখে নিলে বিয়ের পর স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে কাজে লাগাতে পারবেন। এবং স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন তাকে কিছুটা সাহায্য করে ইমপ্রেসও করতে পারবেন।
৫) টুকটাক অভ্যাস পরিবর্তন করুন
ভেজা তোয়ালে বিছানায় রাখা, পোশাক আশাক ও জিনিসপত্র ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা, জুতো খুলে ঘরে ছুঁড়ে ফেলা ধরণের ছোটোখাটো অভ্যাসগুলো আগে থেকেই শুধরে নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে লাভ আপনারই।
৬) নিজের অতীতকে ঘাঁটাবেন না একেবারেই
যতোই তিক্ততা বা মধুরতা থাকুক না কেন অতীতকে একেবারেই ঘাঁটতে যাবেন না বিয়ের পূর্বে। এতে করে যদি নারী জাতির প্রতি কোনো বিতৃষ্ণা থেকে থাকে তা পুনরায় আপনার সামনে আসবে যার প্রভাব পড়বে বর্তমানের উপর।
৭) সঙ্গিনী ও তার পরিবারকে জানার চেষ্টা করুন
যদি প্রেমের বিয়ে হয় তাহলে হয়তো অনেক কিছুই আপনি জানবেন সঙ্গিনী ও তার পরিবার সম্পর্কে কিন্তু তা ছিল অন্য একটি সম্পর্কে থাকাকালীন বিষয়। একটু নতুন করে ভাবুন। আর যদি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয় তাহলেও জানতে শিখুন সঙ্গিনী ও তার পরিবারকে বিয়ের আগেই।
৮) নিজের পরিবারকে জানুন
আপনি পছন্দ করে বিয়ে করুন বা পরিবারের পছন্দে বিয়ে করুন না কেন নিজের পরিবারের মানুষগুলো সম্পর্কে একটু ভেবে নিন। কারণ বিয়ের পর অনেক সময় পরিবারের সাথে অ্যাডজাস্টের সমস্যা বড় আঁকার ধারণ করতে পারে।
লাইফহ্যাকসে প্রকাশিত ‘Things for Men to Do Before Marriage’ হতে অনুপ্রাণিত।