মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসায় বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়ে হলুদ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। যদিও এখনও এই বিষয়ে ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সময় সকালে নিজ গাড়ি থেকে বসে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, সুখবর, বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে হলুদ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তিনি এই তথ্য দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তার লণ্ডন সফর, বাংলাদেশ সরকারের চাপ, লেখালেখির জন্য এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।
আর এতে করে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় ছয় হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সহজে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। ব্রিটেনের রেড লিস্ট তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার হলে আর হোটেল কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তবে হোম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।বাংলাদেশের ওপর থেকে রেডএলার্ট তুলে নেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর যুক্তরাজ্য সরকার ট্রাফিক বাতির মতো রং যেমন ‘রেড’, ‘আম্বার’ ও ‘গ্রিন’ তালিকার মাধ্যমে ঝুঁকি নিরূপণ করে। গত ৭ মে যুক্তরাজ্য সরকার প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশ ‘রেড লিস্টে’ স্থান পায়। লাল তালিকার বাইরে থাকা দেশগুলো হলুদ তালিকায় আছে। বাংলাদেশ আগামী বুধবার থেকে হলুদ তালিকায় চলে যাবে।
কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে খুবই কম ঝুঁকিপূর্ণ এমন কিছু দেশকে গ্রিন বা সবুজ তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে লাল তালিকার বাইরে হলুদ বা সবুজ কোনো তালিকা থাকবে না। লাল তালিকার বাইরে থাকা দেশের যাত্রীদের যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর দ্বিতীয় দিনে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে এবং ফল নেগেটিভ আসতে হবে।