বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তিনিও নেমেছিলেন রাস্তায়। শিল্পীসমাজের সঙ্গে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রদের সঙ্গে। এই আন্দোলনের বিজয়ে তারও উল্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি। উল্টো স্ত্রী সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে ছাড়তে হয়েছে ঘর।
জলের গানের গায়ক রাহুল আনন্দের কথা বলছিলাম। আন্দোলনে বিজয় পরবর্তী সহিংসতায় ঘর-বাড়ি পোড়ানো হয় তার। পুড়ে ছাই হয়ে যায় গায়কের নিজ হাতে বানানো অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র। সংবাদমাধ্যমের কাছে রোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন রাহুল আনন্দ, জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া। রাহুলের আক্ষেপ, মানুষের জন্য গান করেন তিনি। তবুও তার সব বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হলো, রাহুল বলেন, “কিছু ছেলেপেলে এসে আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলল, তাদের বললাম, আমি তো তোমাদের জন্যই গান করি। এই আন্দোলনেরও সমর্থক ছিলাম। তবুও আমার বাড়িতে কেন হামলা করছ?
এরপর জলের গানের ভোকাল বলেন,“তারা বলল, ‘আপনারা বের হয়ে যান, না হলে বিপদ হবে’। পরে আমরা বেরিয়ে চলে আসি।”
গায়কের কথায়, এরপরই বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয় এবং ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। ঘর থেকে লেপ-তোষকও নিয়ে যেতে দেখা যায়। এসিও খুলে নিয়ে যায় লুটপাটকারীরা। নিজ হাতে বানানো বাদ্যযন্ত্রগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাহুলের। তিনি বলেন, “আমার নিজের হাতে বানানো বাদ্যযন্ত্রগুলো, এগুলো আমার অনেক মূল্যবান সম্পদ। তাদের অনুরোধ করেও রক্ষা করা গেল না। যারা আগুন দিয়েছে, তারা আমাকে চিনেছে।
মানুষের জন্য গান করেন রাহুল। অথচ মানুষ-ই পুড়িয়ে দিল তার ঘর-সাধের বাদ্যযন্ত্র। তিনি বলেন,“আমি তো মানুষের জন্যই গান করি। তবুও তারা আমার সব বাদ্যযন্ত্রগুলো পুড়িয়ে দিল।”