আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী আফগানদের সরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনা করা সামরিক প্লেনে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘রিচ’।যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান কমান্ডের জেনারেল টড উলটার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সি-১৭ ক্যাটাগরির জরুরি প্লেনকে সাধারণত অন্যান্য প্লেন ও কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘রিচ’ নামে ডাকা হয়। শিশুটির বাবা-মায়ের পছন্দেই মূলত এমন নাম রাখা হয়েছে।আফগানিস্তানে উপদ্রুত মার্কিন নাগরিক ও সহযোগী আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ইউএস এয়ার মোবিলিটি কমান্ড এক টুইটে জানিয়েছিল, কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটটি বিমানবন্দর ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রসব বেদনা ওঠে এক আফগান নারীর।সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ হাজার মিটার ওপরে অবস্থান করায় প্লেনটিতে অক্সিজেনের কিছু ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। দ্রুত পাইলট প্লেনটি কিছুটা নিচে নামিয়ে আনার পর তা সমাধান হয়।প্লেনটি আকাশে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মেডিকেল সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় মার্কিন সামিরক বাহিনীর প্লেনটির পাইলট।
হয়তোবা পাসপোর্টের জন্য বেশ ঝামেলায় পড়বে রিচ নামের শিশুটি।কারণ পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের বোঝানো বেশ কষ্টকর হবে তার জন্ম ভূমিতে নয় বরং এর ২৮ হাজার মিটার ওপরের আকাশে।রিচ হাতে গোনা কয়েক শিশুদের মধ্যে একজন যাদের জন্ম হয়েছে বিমানে।তার পাসপোর্টে হয়তো লেখা থাকবে, ‘এই পাসপোর্টধারীর জন্ম হয়েছে বিমানে’।এদিকে শিশুর নাগরিকত্ব নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।কেউ কেউ বলছেন, শিশুটি যেহেতু মার্কিন পতাকাবাহী এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধন করা সামরিক বিমানে জন্মগ্রহণ করেছে সেজন্যে তার মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত।আরেক পক্ষ বলছেন, যেহেতু বিমানটি জার্মানিতে অবতরণের পর শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে, তাই জার্মান নাগরিকত্বই তার প্রাপ্য।