মিশিগান প্রতিদিন ডেস্কঃ ভারতের জাতির জনক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা মহাত্মা গান্ধী উগ্র হিন্দুত্ববাদী আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার ৭৪ বছর পূর্ণ হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মন্দির থেকে এতো বছর পর এসে দাবি করা হয়েছে, সেখানে গান্ধীর দেহাবশেষের ছাই আছে।
ঘটনা সত্যি হলে, ভারতের বাইরে গান্ধীর শেষকৃত্যের ছাই থাকা প্রথম জায়গা এটি। হলিউড থেকে হাঁটা দূরত্বে সানসেট বুলভার্ডে অবস্থিত আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান ‘লেক শ্রাইন’-এ গান্ধী ওয়ার্ল্ড পিস মেমোরিয়াল আছে।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১৯৫০ সালে এটি নির্মাণ করেন পরমহংস যোগানন্দ। দারুণ পরিবেশে রয়েছে গান্ধীর সেই স্মৃতিস্তম্ভ। চীনের প্রাচীন পাথর দিয়ে নির্মিত শবাধারে গান্ধীর দেহাবশেষের ছাই থাকার দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্যের পর ছাই ২০ ভাগে ভাগ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেন গান্ধীর শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারে, সেজন্য এটি করা হয়েছিল। তাঁর দেহাবশেষের ছাইয়ের অংশ ভারতের বাইরেও চলে গিয়ে থাকতে পারে ওই সময়।
মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী এ ব্যাপারে বলেছেন, বাপুর (মহাত্মা গান্ধীর) দেহাবশেষের ছাইয়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। তিনি বলেন, ‘লেক শ্রাইন’-এ গান্ধীর দেহাবশেষের ছাই থাকার ব্যাপারে ২০ বছর আগে তথ্য পেয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন তুষার গান্ধী। তবে তখন কোনো সাড়া পাননি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে ছাই রেখে দেওয়াটা বাপুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায়। কারণ, তিনি বলেছিলেন তিনি না থাকলে তার ছাই রাখা উচিত নয়। সে কারণে এটির নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। সূত্র: বিবিসি।