স্কোরবোর্ডে ৪১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন সিফাত শাহরিয়ার সামি। আটে নেমে খেলেছেন ১১৫ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস। মূলত পেসার হিসেবে একাদশে জায়গা পেলেও এদিন ব্যাট হাতে দলকে বাঁচিয়েছেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই ১৮৭ রানের জয় পেয়েছে তার দল। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে বড় লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সরকারি কে.জি ইউনিয়ন হাই স্কুল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক অনিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে আব্দুল্লাহর ব্যাট থেকে। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি ৮ ব্যাটার। বাসাবোর হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হোসেন। এ ছাড়া রাজানুল হৃদয় দুটি এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন শিপন হোসেন, কারিমুল ও নাশিত।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাসাবো। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কারিমুল ইসলামের উইকেট হারায় তারা। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন কাজী রায়হান ও রাজানুল হাসান হৃদয়। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি নূর আহমেদ সিয়াম রাতুল। এরপর ধস নামে বাসাবোর ব্যাটিং শিবিরে। সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক হৃদয়, নাফিস হাসান ও মোহাম্মদ হোসেন। একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার রাজানুল হৃদয় সাজঘরে ফিরেছেন ২৩ রানে। এরপর ১৭৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন নাশিত মুশতাকিম ও সিফাত শাহরিয়ার। ৩০ রানের ইনিংস খেলা নাশিত ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এদিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন সিফাত। শেষ দিকে মাত্র ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আলিফ মাহমুদ। দেড়শ করার আগে ১৪৮ রানে ফিরেছেন সিফাত। তার ব্যাটিংয়েই মূলত ২৬৮ রানের পুঁজি পায় তারা। কে.জি ইউনিয়নের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফায়েজউল্লাহ, নূর আহমেদ এবং অংশু বসু। সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সিফাত। তবে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে থাকায় নিজের হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে পারেননি তিনি। বোলিংয়ের সময় দলের পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে নিজের ওভার শেষ হওয়ার আগে ‘হিট স্ট্রোকে’ মাটিতে পড়ে যান সিফাত। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরেছে।
এর আগে প্রথম ইনিংস শেষে সিফাত নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলছিলেন, ‘নিজের প্রতি বিশ্বাস ও স্যারের সমর্থন ছিলো। দলের সবাই সমর্থন করেছে একাদশের এবং একাদশের বাইরের সবাই। বলেছে তুই থাকলে ভালো কিছু হবে। দ্রুত ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিলো। চিন্তা ছিলো মাঠে গিয়ে সলিড ব্যাটিং করতে হবে। সামনে নিয়ে যেতে হবে দলকে। এজন্য এক-দুই করে করে খেলেছি।’