‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছ পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানালেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
আজ রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তাকে (মিল্টন সমাদ্দার) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে- আপনি যে ২০ লাখ টাকা খরচ করেন, টাকা পান কোথায়? নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে ডাক্তারের সিল-স্বাক্ষর করে জাল করেছেন- তিনি নিজেই মিডিয়ায় বলেছেন। আমরা এটাও জেনেছি যে তিনি ইতোমধ্যে ৯০০ লাশ দাফন করেছেন, ৮৩৫টিরই হিসাবে গরমলি, কোনো ডকুমেন্ট তিনি দেখাতে পারেন না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কারণ কি? এ লাশগুলো আপনি কেন রাতে দাফন করেন?’
তিনি বলেন, ‘দেখা যায় পাশে একটা মসজিদ রয়েছে, সেখানে প্রশ্ন উঠেছে যে কিডনির পাশে রক্তের দাগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ রয়েছে। যে অভিযোগগুলো, আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব যে লাশগুলো রাতে কেন দাফন করলেন? তার কাছে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব- তিনি যেহেতু স্বীকার করেছেন যে ডেথ সার্টিফিকেটটা তিনি নিজে কেন তৈরি করেন? ডাক্তারের সিল-স্বাক্ষর তিনি নেন নাই কেন?’
ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘তার সেখানে একটা বাচ্চা শিশুকে দিয়েছে বা বৃদ্ধকে যারা দিয়েছে যখন তারা তাদের খোঁজ-খবর নিতে গিয়েছে তিনি টর্চার সেলে তাদের সেখানে পিটিয়েছেন। এ রকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং তিনি বলেছেন তার দুইটি আশ্রম রয়েছে। একটা সাভার একটা হলো মিরপুর। সেখানে ৫০০-৭০০ লোক রয়েছে, কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে সেখানে ২০-৩০ জন, ৪০ জনের বেশি লোক নাই।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের কথা হলো আমরা অভিযোগ পেয়ে তাকে নিয়ে এসেছি এবং কিছু অভিযোগকারী তারাও মামলা করবে। আমরা তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব যে কত সংখ্যক মানুষ তার এখানে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল, কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল? তিনি কি আসলেই সেখানে অপারেশন থিয়েটার করেছেন, সেখান থেকে তিনি কিডনি বিক্রি করেছেন কি না, সেটাও আমরা তদন্ত করব। সবকিছু তদন্ত করে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাব।’