বর্তমান সময়ে মোবাইলের নেশায় বুঁদ হচ্ছেন সবাই। মোবাইলের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডার অবসর। এই অভ্যাসের হাত ধরে ঘুম কম হচ্ছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় ধরছে, উদ্বেগ আর অবসাদও বাড়ছে। জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে।
ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন :
ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বার করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনাচিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।
সময় ঠিক করে নিন :
কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলি নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।
অ্যাপ ছাঁটাই :
দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলি ফোনে না রাখাই ভাল। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।
বন্ধু খুঁজুন :
ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনও সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনও সদস্যও হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।
ফোন ছাড়া ছুটিতে যান :
এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।