যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় নিকোলাস। এর ফলে সেখানে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রাণঘাতী বন্যার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে টেক্সাস উপকূলে এই ঝড় আঘাত হানে। মৌসুমি ঝড় থেকে শক্তি বাড়িয়ে নিকোলাস ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলে আঘাত হানার সময় হ্যারিকেন নিকোলাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। হাউস্টন এলাকায় নিকোলাস আঘাত হানতে পারে এবং সেখানে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে নিকোলাসের আঘাতে এখনো কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী হ্যারিকেন নিকোলাসের কারণে টেক্সাসের তিন লাখ ২০ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টেক্সাস সীমান্তলাগোয়া লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে অঙ্গরাজ্যটিতে সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা টেক্সাস উপকূলের কয়েকটি এলাকার জন্য ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার সতর্ক করে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় নিকোলাসের প্রভাবে প্রাণঘাতী বন্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অত্যন্ত নগরায়িত এলাকাগুলোতে। এতে করে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এদিকে জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা একে ‘প্রাণঘাতী এক পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করে সতর্ক করে দিয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট ‘আইডা’ নামে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল লুইজিয়ানায়। এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল। ‘চার ক্যাটাগরির’ এই ঘূর্ণিঝড় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা পঞ্চম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আইডার আঘাতে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে লাখো বাসিন্দা।