যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে গত এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
গত ১ বছরে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে ১৭ লাখের বেশি অভিবাসিদের আটক করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে মেক্সিকোসহ আশেপাশের দেশগুলোর নাগরিকের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যায়।গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
অনেকে বলছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা ডুবে যাচ্ছে অনেকাংশে তাঁর অভিবাসন নীতির কারণে। এত বড় সংখ্যার অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনার জন্য বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতিকেই দায়ী করেছেন রিপাবলিকানরা।
বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে আরও মানবিক অভিবাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতায় আসার নয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ব্যাপক অভিবাসী সংকট দেখা দেয়। যা নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন বাইডেন প্রশাসন।
২০২১ অর্থবছরের আটক সংখ্যা, যা সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছিল; ২০০০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। সে বছর, ১৬ লাখেরও বেশি অভিবাসীকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রথম এ ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ শুরু করার পর থেকে সংখ্যাটি এই প্রথম ১৭ লাখে পৌঁছাল।
মহামারির কারণেই সীমান্ত পারি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অভিবাসিদের এমন ঢল নেমেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্তরক্ষা অধিদপ্তর।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্তত ১ লাখ ৪৫ হাজার পরিবারহীন অভিবাসি শিশু লক্ষ্য করা গেছে, যার মধ্যে ১১ হাজার শিশু সরকারি হেফাজতে রয়েছে।