সারাদিনে এক কাপ চা খান না এমন মানুষ কমই আছে। বাড়িতে, অফিসে কাজের ফাঁকে, আড্ডায়, অতিথি আপ্যায়নে চায়ের জুড়ি নেই। এক সময় চা মানেই সবাই দুধ চা-ই বুঝতো। আজকাল স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা চিন্তা করে অনেকের কাছে লিকার চা, গ্রিন টিসহ নানা রকমের ভেষজ চা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে লিকার চা নাকি গ্রিন টি কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ ড. অরিত্র খাঁ জানিয়েছেন নানা তথ্য।
ড, অরিত্রর মতে, গ্রিন টি-তে রয়েছে এপিগ্যালেটো ক্যাটেচিন গ্যালেট নামক একটি উপাদান। এই উপাদান শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। ফলে নিয়মিত গ্রিন টি খেলেই ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগজনিত নানা জটিলতা এড়ানো যায়। এছাড়াও গ্রিন টি-তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ায়। এ কারণে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ওজন কমবে।
অরিত্র খাঁর কথায়, লিকার চায়ে রয়েছে থিওফাইলিনের মতো একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই উপাদান ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর।
এছাড়াও লিকার চায়ে এমন কিছু ক্যাফিন রয়েছে যা কিনা মুড বুস্ট করার কাজ করে। এ কারণে শরীর ও মন ভালো রাখতে নিয়মিত এই চা পান করতেই পারেন। এতেই উপকার মিলবে।
গ্রিন টি না লিকার চা, কোনটা উপকারী?
ড. অরিত্রের ভাষায়, লিকার চা ও গ্রিন টি-এর মধ্যে গ্রিন টি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। কারণ লিকার চায়ে কিছু ক্ষতিকর উপাদান থাকলেও গ্রিন টি-তে তা অনুপস্থিত। এ কারণে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কম।
শুধু তাই নয়, লিকার চায়ের চেয়ে গ্রিন টি-তে অনেকটা বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ কারণে স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গ্রিন টি’য়ের তুলনা নেই।
ড. অরিত্রর কথায়, গ্রিন টি-এর থেকে উপকার পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে গ্রিন টি মিশিয়ে পান করতে হবে। এছাড়া এই পানীয়ে লেবু, চিনি বা দুধ মেশানো যাবে না।
তার মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ গ্রিন টি বা লিকার চা খেতে পারেন। এর বেশি নয়।