ফারজানা চৌধুরীঃ ক্যামেরা আবিষ্কারের পর থেকেই বিশ্বের বহু মানুষ ছবি তোলার শখের কারণে বনে-পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন দিনের পর দিন। অতীতে এই কাজটি অনেকটা জটিল থাকলেও বর্তমান সময়ের ডিজিটাল ক্যামেরা এই কাজকে একেবারে সহজ করে দিয়েছে।
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার শখ থেকেই হয়তো ছবি তোলা শিখেছেন অনেকে। বর্তমানে বিয়েবাড়ি, ঘুরতে যাওয়া, কোনো প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পড়লে ছবি তুলতে মন চায় যে কারো।
এক্ষেত্রে একজন ফটোগ্রাফারের জুড়ি নেই। ফটোগ্রাফি এমন একটি পেশা যেটা কেউ শখের বসে করে আবার কেউ পেশার তাগিদে। শখের বসে ফটোগ্রাফি করার জন্য হাতে ক্যামেরা তুলে নিয়েছেন মিশিগানর জুয়েল হুদা।
তিনি বলেন, “ফটোগ্রাফি একটা অন্যরকমের আর্ট। এটা অবশ্যই প্যাশন এবং প্রফেশন দুটি ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব বহন করে। আমি আমার ফটোগ্রাফিকে রোমান্টিক এবং শৈল্পিক হিসেবে বর্ণনা করতে পছন্দ করি এবং হালকা স্নিগ্ধতা, রঙ এবং টেক্সচারের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি।
একজন ফটোগ্রাফার আর ১০ জন মানুষের চেয়ে সবকিছুকে অনেক আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা রাখে। সবার কাছে যেটা সাধারণ, একজন ফটোগ্রাফার সেই জিনিসটাকেই তার ক্যামেরার মাধ্যমে অনন্যতা দান করতে পারে।
ক্যামেরাই একজন ফটোগ্রাফারের তৃতীয় নয়ন। প্রকৃতি, সবুজের স্নিগ্ধতা, আকাশের শুভ্রতা এসব কিছুই এক অন্য আঙ্গিকে তুলে ধরাই ফটোগ্রাফি।
শেখার জন্য শুরুতেই খুব ভালো ক্যামেরার দরকার নেই। দিন শেষে ক্যামেরা একটি যন্ত্র মাত্র। ভালো মানের ক্যামেরার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হলো আগ্রহ।
আগ্রহ থাকলে সাধারণ মানের ক্যামেরা দিয়েও ভালো ছবি তোলা সম্ভব। আজকাল মোবাইল ফোনেও বেশ ভালো মানের ক্যামেরা রয়েছে। হাত পাকানোর জন্য মোবাইল ফোনও মন্দ নয়।
ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য প্রথমে যেই জিনিষটা খুব বেশি দরকার তাহলো একটা সুন্দর আর সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। আর তারপরে যা প্রয়োজন তাহলো অনেকবেশী অনুশীলন আর এরপরে হয়ত বলা যেতে পারে একটা ভালো ক্যামেরার কথা!
ভাল ছবি তোলার সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা আর তার চাইতে বড় ব্যাপার হলো সে জায়গায় হাতে ক্যামেরা নিয়ে রেডি থাকা। নিজের ক্যামারাটি সবসময় বহন করার চেষ্টা করুন আর ব্যবহার করুন।”