প্রতারণায় মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইওসহ অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। ইভ্যালির হয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার দায় যদি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করা শিল্পী তাহসান খান ও শবনম ফারিয়া থাকে-তবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
সোমবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়া অন্তত ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে সিআইডি।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তত ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিতর্কিত এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
চলতি বছরের জুনে ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কিন্তু ইভ্যালির এমডি রাসেলকে গ্রেফতারের পর জানা যায়, শবনম ফারিয়ার বেতনের অধিকাংশই রয়ে গেছে বকেয়া।
তিনি আর এই প্রতিষ্ঠানের সাথে নেই।
এছাড়াও গত ১০ মার্চ ইভ্যালির ‘ফেইস অব ইভ্যালি’ (শুভেচ্ছাদূত) ঘোষণা করা হয় তাহসানকে। তিনি শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পরের মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও গ্রাহকের পণ্য সময়মতো পৌঁছে না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়তে থাকে। সবদিক বিবেচনা করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় ইভ্যালি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান তাহসান।