ফারজানা চৌধুরীঃ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত পারাপারকারী ট্রাকচালকদের হয় করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে অথবা করোনা পরীক্ষা সাপেক্ষে আইসোলেশনে থাকতে হবে- কানাডার সরকারের এমন বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছে ট্রাকচালকরা।
কানাডার ট্রাকচালকদের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে কঠোর করোনাবিধির ইতি টানার আহ্বান জানিয়েছেন মিশিগান রাজ্যের গভর্নর গ্রীচেন হুইটমার। গত বৃহস্পতিবার হুইটমার একটি বিবৃতিতে বলেন, “এটি স্বয়ংচালিত শিল্প, উৎপাদন, কৃষি এবং আরও অনেক কিছু সহ মিশিগানের অর্থনীতিকে ব্যাহত করছে।”
তিনি বলেন, “আমার বার্তাটি সহজ: সেতুতে ট্রাফিক পুনরায় খুলুন। মিশিগানে আমাদের পরিশ্রমী মানুষ এবং উদ্ভাবনী ছোট ব্যবসার কারণে আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সেই গতি ঝুঁকির মুখে।
হুইটমার বলেন, “অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ হল উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে ব্যস্ত স্থল সীমান্ত ক্রসিং, যা প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এবং ট্রাক চালকরা কয়েক মিলিয়ন ডলারের পণ্য বহন করে। কানাডার স্থানীয়, প্রাদেশিক এবং জাতীয় সরকারকে অবশ্যই অবিলম্বে এবং নিরাপদে ট্রাফিক পুনরায় চালু করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে আমরা আমাদের অর্থনীতির বিকাশ চালিয়ে যেতে পারি, ভাল বেতনের চাকরিকে সমর্থন করতে পারি এবং পরিবারের জন্য খরচ কমাতে পারি।”
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সোমবার ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ বন্ধের আহ্বান জানালেও পরদিন সুর পাল্টান তিনি।
ট্রুডো মঙ্গলবার বলেন, সবাই কতটা হতাশায় ভুগছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন। বিধি-নিষেধ শিথিলের সময় আসছে- এমন মন্তব্য করে তিনি এটাও বলেন, সবাই টিকা নিলে অন্যান্য বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া সম্ভব।
করোনাবিধি শিথিলে ট্রুডোর ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তার মধ্যে কানাডার সাসকাচেওয়ান প্রদেশ সরকার মঙ্গলবার জানায়, আগামী রবিবার মধ্যরাত থেকে সেখানে করোনাবিধি তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে বদ্ধ স্থানে মাস্ক পরা এবং করোনা পজিটিভি ব্যক্তির কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে। কানাডার অন্যান্য প্রদেশও শিগগির করোনাবিধি তুলে নেওয়ার কথা বলছে।