মিশিগান প্রতিদিন ডেস্কঃ মার্কিন জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা দ্য সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তাদের নাগরিকদের এন৯৫ মাস্ক পরার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে। অন্য যেকোনো ধরনের কাপড়ের বা সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে অধিক কার্যকর বিবেচনায় তাদের এই আবেদন। যদিও সিডিসি নির্দিষ্ট করে বলেনি ঠিক কী কী পার্থক্য আছে এ দুই ধরনের মাস্কের ভেতর। তবুও তারা কভিডের উচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এন৯৫ অধিক কার্যকর বলে মনে করে। বিশেষজ্ঞরা সিডিসির কাছে আরজি জানিয়েছে, ওমিক্রন ও অন্যান্য ভেরিয়েন্টের উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে তারা যেন এন৯৫ মাস্কটি ব্যবহারের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নানা উপকরণের মিশ্রণে তৈরি দুই বা তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্কগুলো যথেষ্ট কার্যকর, এতে কোনোই সন্দেহ নেই। তবে কাপড়ের মাস্কগুলো শুধুই ফ্যাশন অ্যাকসেসরিস। এগুলোর কোনো পরীক্ষিত স্বাস্থ্য মান নেই। আর ওদিকে এন৯৫ মাস্ক ৯৫ শতাংশ বিভিন্ন পদার্থের কণা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
সিডিসি বলছে, তারা মার্কিনিদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিতে উৎসাহিত করতে চায়। আর শ্বাসযন্ত্রগুলোরর জন্য সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রয়োজন। এতে বলা হয়, আলগাভাবে বোনা কাপড়ের মাস্কগুলো সর্বনিম্ন সুরক্ষা প্রদান করে। মাস্কিং হলো কভিড-১৯-এর বিস্তাররোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, কোনো একটি মাস্ক পরা কোনো মাস্ক না-পরার চেয়ে ভালো।
মার্কিন কনফারেন্স অব গভর্নমেন্টাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাইজিনিস্ট বলছে, এন৯৫ মাস্কের সাহায্যে অন্য ব্যক্তি মাস্ক না পরলে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কভিড ভাইরাস অন্য লোকেদের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। যদি উভয় ব্যক্তিই এন৯৫ মাস্ক পরে থাকেন তবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে ২৫ ঘণ্টা লাগবে। অন্যদিকে যদি দুজন লোক কাপড়ের মাস্ক পরেন, তবে ২৭ মিনিটের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন প্রায় ১৮০০ জনের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। আর সাত লাখ ৮০ হাজার জন নতুনভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। হিসাব বলছে, এটি বিশ্বে সর্বাধিক। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও রেকর্ড মাত্রায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ফেডারেল সরকার মার্কিনিদের জন্য বিনা মূল্যে উচ্চমানের মাস্ক সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। সিডিসি বলছে, এন৯৫ মাস্কগুলো ভ্রমণ থেকে শুরু করে যেকোনো উচ্চ সংক্রমণ হতে পারে এমন স্থানের জন্য অধিক উপযুক্ত।সূত্র:মিন্ট