কবিঃ চৈতালী দাস মজুমদার
সুরের আকাশ স্তব্ধ হলো
নক্ষত্র পড়ে ঝরে,
পরাণ পাখিটা জীবন হারালো
মাটিতে রইল পড়ে।
কোকিল কন্ঠে গাইত যখন
মুর্ছিত হতো দেশ,
আকাশে বাতাসে খুশির জোয়ার
চলত তারই রেশ।
হঠাৎ করেই নিভল প্রদীপ
স্তব্ধ সকল সুর,
বিদায় জানিয়ে লুকিয়ে গেলেন
জানিনা সে কতো দূর।
তোমার স্মৃতি মনের দুয়ারে
গানের স্বরলিপি,
চোখের জলেতে ভাসায় মানুষ
সকল প্রতিলিপি।
তুলির আঁচড়ে এঁকেছি তোমাকে
তুমি সুরসম্রাজ্ঞী,
তোমার কন্ঠে সুরের ধারায়
বাণভাসি এ অভাগী।
শিল্পী কণ্ঠে বেদনার সুর
করো তুমি প্রতিকার,
বন্ধ হলো সে হঠাৎ নয়ন
চারিদিকে হাহাকার।
নিভে গেল যতো আকাশের তারা
হলো আজ মেঘ কালো,
আসবেনা আর কোনোদিন ফিরে
জ্বালবে না আর আলো।
পেয়েছিলে তুমি ভারতরত্ন
গেয়ে ছিলে কতো গান,
সব মায়া আজ ত্যাগ করে দিয়ে
বিলীন হলো যে প্রাণ।
বুলবুল তুমি অন্তিম বেলা
বিদায় মন্ত্র পাঠে,
বৈদিক রিতিতে বিদায় জানাই
সাজো চন্দন কাঠে।